‘এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে/ দিকে দিকে বাজল যখন শেকল ভাঙার গান’- জনপ্রিয় এ গানের স্রষ্টা খান আতাউর রহমান। একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত। খ্যাতিমান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, সংগীত পরিচালক, গায়ক, গীতিকার; আবৃত্তিকার হিসেবেও খান আতাউর রহমানের খ্যাতি ছিল।
একাধিক গুণের অধিকারী এই মানুষটি আমাদের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেছেন। ‘আবার তোরা মানুষ হ’ তাঁর বিখ্যাত চলচ্চিত্র। তাঁরই সন্তান আগুন অভিনয়ে না এলেও সংগীতে তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ।
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে আগুন বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে যাঁদের অবদানে এ বাংলা তাঁদের মুখটাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে। সেখানে যখন আমার বাবার মুখটা দেখি তখন গর্ব হয় ভীষণ।’ কিন্তু ক্ষোভ চাপা থাকে না আগুনের ভরাট কণ্ঠে। ‘আমার বাবার অবদানের কথা পুরো দেশ জানে, কয়েকটা কুলাঙ্গার বাদে।’ বলেন তিনি।
এমন বাবার সন্তান হয়ে আগুন গর্বিত। কিন্তু স্বাধীন দেশে খান আতাউর রহমানের কতটুকু মূল্যায়ন হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে আগুন বলেন, ‘বাংলাদেশের তুলনায় এটা ঠিকই আছে। এর থেকে বেশি আশা করা যায় না। মৃত্যুর পরে এখানে মানুষকে মূল্যায়ন করা হয়। মৃত্যুর আগে তাঁকে ওভাবে জাজ করা হয় না। ফলে এর চেয়ে বেশি আশা করা বোকামী।’
সুতরাং কোনো আক্ষেপ নেই এই শিল্পীর। ‘যেটা হয়েছে বেটার’ মনে করেন তিনি।
আগুন বলেন, ‘আমি মিউজিকের মানুষ। বাংলাদেশের ৫০ বছরে আমার প্রত্যাশা নব্বই দশকটা যেন আবার ফিরে আসে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি নব্বই দশক ফিরিয়ে আনার। নব্বই দশকের চারটা গান নিয়ে আসছি। নতুন বছরে মুক্তি পাবে। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।